রোজার বিধান সূমহ

 রোযার আহকাম

মহান আল্লাহ তায়লা বলেন
হে ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রোযা ফরজ করা হয়েছে,যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যাতে করে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।
( সূরা- আলা-বাকারা; ১৮০)


হাদীস শরীফে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,যখন রমজান মাস আসে তখন আসমানের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয়। অপর বর্ণনায় এসেছে রহমতের  দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয় । অপর এক বর্ণনায় এসেছে বেহেশতের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয়, এবং দোযখের দরজা সমূহ বন্ধকরে দেওয়া হয়। আর শয়তানকে করা হয় শৃক্সখলিত।
(বুখারী ও মুসলিম)

হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের নিয়তে রমজানের রোযা রাখে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হয়। অনুরূপ ভাবে যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের নিয়তে রমজানে দন্ডায়মান হয় অর্থাৎ তারাবীর নামাজ সহ বিভিন্ন নফল নামজে আত্মনিয়োগ করে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হয়। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ছওয়াবের নিয়তে শবে ক্বদরে দন্ডায়মান হয় তারও পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করা হয়।(বুখারী ও মুসলিম)

হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, বনী আদমের সকল ভাল কাজের বিনিময় দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়, তবে রোজা ছাড়া। মহান আল্লাহ পাক বলেন, রোজা একমাত্র আমাই জন্য এবং এর প্রতিদান আমি নিজেই দেব। কারণ আমার বান্দা তার প্রবৃত্তির কামনা ও খাবার স্পৃহা একমাত্র আমার ভয়েই পরিহার করেছে। (মুসনাদে আহমদ)

রমজানের রোযার হুকুম।

১।রমজানের চাঁদ উদিত হলেই প্রত্যেক, প্রাপ্ত বয়ষ্ক, জ্ঞানসম্পন্ন, মুকীম মুসলমান পুরুষ ও হায়েয-নেফাস থেকে পবিত্র মহিলার উপর পূর্ণ মাস রোযা রাখা ফরজ।
২।আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে, এমন এক ব্যক্তির চাঁদ দেখার দ্বারাই রমজানের চাঁদ প্রমাণিত হয়ে যাবে,যার দ্বীনদার হওয়া সু-প্রমাণিত বা কমপক্ষে বাহ্যিক ভাবে তাকে দ্বীনদার বলে মনে হয়।
৩। আকাশ পরিস্কার থাকলে একজনের  খবর যাথেষ্ট নয়, বরং এমন সংখক লোকের খবর জরুরী যার দ্বারা চাঁদ উদিত হওয়ার প্রবল বিশ্বাস স্থাপিত হয়।

রোযার নিয়ত

১। রোযার নিয়ত করা ফরজ। নিয়তের অর্থ হচ্ছে, অন্তরে রোযার ইচ্ছা  করা। মুখে বলা জরুরী নয়। তবে মুখেও বলে নেওয়া ভাল।
২। রোযার উদ্দেশ্যে সাহরী খেলে, সেটাই নিয়তের জন্য যথেষ্ট। রমজানের রোযার নিয়ত রাতে করাই উত্তম। তবে সূর্য ঢলার আগে আগে নিয়ত করলেও রোযা হয়ে যাবে।
৩।পুরো রমজানের জন্য একত্রে নিয়ত করা যথেষ্ট নয়।

সাহরী

১। সাহরী খাওয়া সুন্নত। পেট ভরে খাওয়া জরুরী নয়। এক ডোক পানি পান করে সাহরী করলেও সাহরীর সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃ তোমরা সাহরী খাও। কেননা সাহরীতে বরকত রয়েছে।
২। সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে সাহরী খাওয়া মুস্তাহাব। তবে এত দেরী করে সাহরী খাওয়া মাকরূহ, যাতে সুবহেসাদিক হয়ে যাওয়ার আশংকা হয়।
৩। সাহরী না খেলে রোজার কোন ক্ষতি হবে না।

ইফতার

১ দেরী না করে  সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করে নেওয়া মুস্তাহাব।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃ যতদিন মানুষ সুর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করতে থাকবে ততদিন কল্যাণের উপর থাকবে।
২। ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়। তাই এ সময় বেশী বেশী দোয়া করতে থাকবে। অধীক হারে ইস্তিগফার, দরুদ, পড়বে ও মাগফিরাত কামনা করবে।
৩। ইফতারের সময় এ দোয়া পড়বে-
بسم الله ، اللهم لك صمت ، وعلى رزقك أفطرت
(আল-আজকার-আবু দাউদ)
৪। ইফতারের পর এ দোয়া পড়বে-
ذهب الظمأ و ابتلت العروق و ثبت الأجر إن شاء الله

যে সমস্ত কারণে শুধু রোযা কাযা করতে হয়

রোযা ইসলামের পাঁচটি মূলভিত্তির একটি। প্রতিটি ইবাদত শুদ্ধ হওয়ার কিছু নিয়ম-কানুন আছে। কিছু আছে পালনীয়, কিছু বর্জনীয়। পালনীয় বস্তুগুলো আদায় না করলে এবং বর্জনীয় বস্তুগুলো না ছাড়লে সেই ইবাদত শুদ্ধ হয় না। অশুদ্ধ ইবাদত {ভুলক্রমে অশুদ্ধ হয়ে গেলে, ইচ্ছাকৃত হলে নয়} শুদ্ধ করার কিছু নিয়মও রয়েছে শরীয়তে। পবিত্র রমযান মাসের রোযা এমনভাবে আদায় করা উচিত, যেন কোন ভুলত্রুটি না হয়। এরপরও বান্দা হিসেবে সংঘটিত হয়েই যায়, তাই শরীয়ত বিকল্প পথও রেখেছে।
যে সমস্ত কারণে শুধু রোযা কাযা করতে হয়, তার একটা লিস্ট নিম্নে প্রদান করা হল।
১। রোযা স্মরণ থাকা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে কণ্ঠনালীতে খাদ্য বা পানীয় গলায় প্রবেশ করলে।
২। দাঁতের ফাঁকে থেকে যাওয়া (ছোলা পরিমাণ বা তার অধিক) খাবার গিলে ফেললে।
৩। অন্যের হুমকিতে বাধ্য হয়ে রোযা ভাঙ্গলে।
৪। ঘাম বা চোখের পানি এত বেশী পরিমাণে মুখে প্রবেশ করার দ্বারা যার স্বাদ কণ্ঠনালীতে অনুভব হয়।
৫। যে সমস্ত বস্তু সাধারনত খাদ্যদ্রব্য নয়, যা মানুষ খাবার হিসাবে গ্রহণ করে না, সেগুলো খেয়ে নিলে, যেমন পাথর, মাটি, কাঠ ইত্যাদি।
৭। অন্যের থুথু গিলে নিলে রোযা নষ্ট হয়ে যায়। তবে বন্ধু-প্রিয়জন ও স্ত্রীর থুথু খেলে কাজা ও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হয়।
৮। বমি মুখে চলে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে নিলে, যদিও তা অল্প হয়।
৯। দাঁত দিয়ে রক্ত বের হয়ে থুথুর সাথে পেটে চলে গেলে। তবে রক্তের পরিমাণ থুথুর সমান বা বেশী হতে হবে।
১০। নিজের স্ত্রী বা অপর নারীকে চুম্বন বা আলিঙ্গনের দ্বারা বীর্যপাত হলে।
১১। হস্তমৈথুনের দ্বারা বীর্যপাত ঘটালে।
১২। কোন পশুর সাথে বীর্যপাত ঘটালে।
১৩। মহিলারা সমকামিতায় লিপ্ত হয়ে শুক্র ক্ষরণ করলে।
১৪। নিজের থুথু  মুখ থেকে বের করে পূণরায় গিলে নিলে।
১৬। পেটের ক্ষতস্থানে ঔষধ দিলে। যদি তা খাদ্যনালীতে চলে যায়।
১৭। সুবহে সাদিকের পর সাহরির সময় আছে মনে করে খেলে ও স্ত্রী সহবাস করলে। তদ্রুপ ইফতারির সময় পূর্বে ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে ইফতার করলে।
১৮। বমন হওয়ার কারণে রোযা নষ্ট গেছে ভেবে রোযা ভেঙ্গে ফেললে।
১৯। ভুল করে কোন কিছু খাওয়া বা পান করার পর রোযা নষ্ট হয়ে গেছে ধারণা করে ইচ্ছাকৃতভাবে খাওয়া বা পান করা।

যে সমস্ত কারণে কাযা ও কাফফারা উভয়ই জরুরী

কিছু কারণে রোযা নষ্ট হলে কাযা রাখতে হয়। আর কিছু কারণ এমন আছে, যা সংঘটিত হলে কাযাও রাখতে হবে, কাফফারাও আদায় করতে হবে। একটি রোযার জন্য একটি কাযা ও ষাটটি কাফফারা, মোট একষট্টি রোযা রাখতে হবে। তবে জীবনে অনেক রোযা নষ্ট করে ফেলেছেন, আল্লাহর কাছে তাওবা করে সবগুলোর জন্য একটা একটা কাযা ও সবগুলোর পক্ষ থেকে একটা কাফফারা আদায় করে দিলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করবেন বলে আশা করা যায়। একটা রোযার মর্যাদা এত বেশি যে, সারা জীবন তার বিনিময়ে রোযা রাখলেও রমযানের সেই একটা রোযার মর্যাদার সমান হবে না।
কাফফারা ওয়াজিব হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত আছে। (ক) রমজান মাস হতে হবে। (খ) রমজান মাসের রোযা হতে হবে। বিধায় যদি কেউ রমজান মাসে সফরে থাকে এবং অন্য বছরের ক্বাজা রোজার নিয়ত করে রোযা রাখে এবং পরবর্তীতে তা ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে না। (গ) স্বেচ্ছায় ও স্বাধীনভাবে রোযা ভাঙ্গতে হবে। সুতরাং জবরদস্তির মাধ্যমে রোযা ভাঙ্গলে কাফফারা ওয়াজিব হবে না। (ঘ) ইচ্ছাকৃতভাবে রোযা ভাঙ্গতে হবে। (ঙ) রোযা ভাঙ্গার পর দিনের অবশিষ্ট সময় অসুস্থতা দেখা না দেয়া।
যে সমস্ত কারণে রোযা কাযা ও কাফফারা উভয়ই জরুরী তার একটা লিষ্ট নিম্নে প্রদান করা হল।
১। রোযা রেখে কোন প্রকার শরয়ী ওজর ছাড়াই ইচ্ছাকৃতভাবে খাওয়া, পান করা ও স্ত্রী সহবাস করা। বৈধ ও  অবৈধ সহবাসের একই বিধান অর্থাৎ কাযা ও কাফফারা উভয়ই জরুরী।
২। হুক্কা, বিড়ি, সিগারেট ইত্যাদি  পান করা।
৩। সুবহে সাদিক হয়ে গেছে একথা জানা সত্ত্বেও যদি আজান শোনা যায়নি বা সম্পূর্ণরূপে আলো হয়নি, এধরণের ভিত্তিহীন অযুহাতে ইচ্ছাকৃতভাবে সহবাসে লিপ্ত হয়।
৪। স্বামী-স্ত্রী যে কেউ অন্যজনকে সহবাসে বাধ্য করলে, দুজনকেই কাজা কাফফারা আদায় করতে হবে।
৫। সর্বপ্রকার ঔষধ সেবনের দ্বারা রোযা ভেঙ্গে যায় এবং কাজা কাফফারা ওয়াজিব হয়। শুধু অক্সিজেন নেয়ার দ্বারা রোযা নষ্ট হয় না। তবে অক্সিজেনের সাথে কোন ধরণের ঔষধ মিশ্রিত থাকলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। জেনে শুনে এধরণের অক্সিজেন ব্যবহার করলে কাজা কাফফারা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা আদায় করার নিয়ম
১। একটি রোযার পরিবর্তে ধারাবাহিক দুমাস রোযা রাখতে হবে। চন্দ্র মাসের প্রথম তারিখ থেকে কাফফারার রোযা শুরু করে দুমাস রোযা রাখলেই চলবে। যদি উভয় মাস বা কোন এক মাস ২৯ দিনে হয়, আর চাঁদের প্রথম তারিখ থেকে রোযা শুরু করা না হয়, তাহলে কাফফারার জন্য ধারাবহিক ৬০টি রোযা রাখতে হবে।
২। যদি ধারাবহিকভাবে দুমাস রোযা রাখার সামর্থ না রাখে, তাহেলে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা পেটভরে খানা দিতে হবে, অথবা ৬০ জনকে এক এক ফিতরা সমান (১ কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা তার মূল্য )সদকা করে দিতে হবে।
৩। দুমাস রোযা রাখতে গিয়ে কোন প্রকার কোন ওজরের কারণেও যদি ধারাবাহিকতা ছুটে যায় যেমন: ঈদের কারণে বা অসুস্থার কারণে, তাহলে পুনরায় তাকে কাফফারা আদায় করতে হবে। তার আগের রোযা এক্ষেত্রে ধর্তব্য হবে না।
৪। মহিলাদের বিশেষ দিনগুলোর (হায়েযের)  কারণে ধারাবাহিকতা ছুটে গেলে পুনরায় নতুন করে শুরু করতে হবে না। তবে নিফাসের (সন্তান প্রসব পরবর্তী শ্রাব) কারণে ধারাবাহিকতা ছুটে গেলে আবার নতুন করে হিসাব শুরু করতে হবে।

রোযার মাকরুহ সমূহ

পবিত্র রমযান মাসে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিম অবতীর্ণ করেছেন। শরীয়তের বিধি-বিধান এই কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলে দিয়েছেন রাসূলুল্লাহ সা.-এর মাধ্যমে। রোযাও আল্লাহর দেয়া একটি বিধান। রোযা অবস্থায় আল্লাহ তাআলা তিনটি হালাল বস্তু থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। এক. খাদ্য। দুই. পানীয়। তিন. স্ত্রী সহবাস।
চিন্তার বিষয় হল বৈধ বিষয় থেকেই আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেছেন, তবে অবৈধ বিষয়ের নিষেধাজ্ঞা কত মজবুত হবে? অবৈধ বিষয়াবলী থেকে আরো গুরুত্বের সাথে বিরত থাকা একান্তই জরুরী।
কিছু বিষয় এমন আছে, যা করার দ্বারা রোযা না ভাঙলেও রোযার ক্ষতি হয়ে যায়, রোযা মাকরুহ হয়ে যায়। নিম্নে এর একটা লিষ্ট প্রদান করা হল।
০১। কুলি করার সময় গড়গড়া করা এবং নাকে পানি দেয়ার সময় ভেতরে পানি চলে যাওয়ার আশংকা থাকে এরূপ অসর্তকতার সাথে উপরে পানি পৌছানো।
০২। বিনা ওজরে কোন কিছু চিবানো অথবা জিহ্বাতে লাগানো। যদিও তার স্বাদ গলাতে অনুভব না হয়।
০৩। এমন কাজ করা মাকরুহ, যা দ্বারা রোযা দুর্বল হয়ে যায়।
০৪। পুরুষাঙ্গের ভেতর কোন ঔষধ বা তরল পদার্থ প্রবেশ করানো।
০৫। মিথ্যা বলা।
০৬। গীবত বা চোগলখোরী করা।
০৭। গালি-গালাজ করা।
০৯। টিভি, সিনেমা ইত্যাদি দেখা।
১০। গান-বাদ্য শ্রবন করা।
১১। যে কোন ধরণের গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া।
১২। ঝগরা-ফাসাদ করা।
স্বরণ রাখা দরাকার যে (৫ থেকে ১২)  উক্ত কাজগুলো সর্বাবস্থায় হারাম
১৩। যৌন কামনায় স্ত্রীকে স্পর্শ ও চুমু খাওয়া।
১৪। রাতে সহবাসের পর গোসল না করে রোযা রাখা।
১৫। কয়লা, মাজন টুথপাউডার ও টুথপেস্ট দিয়ে বা গুল দিয়ে দাঁত মাজা।
১৬। অনার্থক কোন জিনিস মুখের ভেতর দিয়ে রাখা।
১৭। ইচ্ছকৃতভাবে অল্প বমি করা।
১৮। সারা দিন নাপাক অস্থায় থাকা।
১৯। এমন সব কাজ করা যা রোযাকে দুর্বল করে দিবে বলে ধারনা করা হয়।
আল্লাহ তাআলা উক্ত কাজগুলোসহ অন্যান্য খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন।

তথ্য সূত্র:
তাফসীরে নূরুল কোরআন
বুখারী শরীফ
মুসলমি শরীফ
ফাতাওয়া শামী
ফাতাওয়া হন্দিয়িা
কতিাবুল- উসূল
আল-বাহরুর রাইক
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদয়িা
আহছানুল-ফাতাওয়
ফাতাওয়ায়ে দারুল-উলূম দওেবন্দ
কদূরী
নূরুল-ঈযাহ
হদোয়া
ফাজায়লেে রমাজানা
আহাকামে রমজান

Comments