আল্লাহর আকার আছে কি ?
আল্লাহর আকার আছে। তিনি নিরাকার নন। তবে সেই আকার কেমন তা কেউ জনেনা।তিনি বলেছেনঃ অর্থঃ কোন কিছুই তাঁর সাদৃশ্য নয়।তিনি সব্রশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা(শুরা-১১)
তাঁকে বেহেস্তে দেখ যাবে।তাঁর দীদরিই হবে বেহেস্তের সবচেয়ে বড় সুখ।
মহানবী (ছাঃ)স্বপ্নে আল্লাহকে দেখেছেন।তিনি বলেছেন,আমি আমার প্রতিপালককে সবচেয়ে সুন্দর
আকৃতিতে দর্শন করেছি।(আহমাদ,তিরমীযি,সহিহুল জামে’-৫৯নং)
আর যা দেখ যায় তা নিরকার নয়।
আল্লাহ বলেন-
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ
সেদিন অনেক মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। আল-ক্বিয়ামাহ, ৭৫/২২-২৩
এ আয়াতের ব্যাখ্যায়
হাফিয ইবনু কাছীর (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, ঐ দিন এমন হবে যাদের মুখমন্ডলে উজ্জ্বলতা প্রকাশ পাবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। (তাফসীর ইবনে কাছীর, ১৪শ’ খন্ড, পৃঃ ২০০)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ عِيَانًا
‘শীঘ্রই তোমাদের প্রতিপালককে তোমরা চাক্ষুস ভাবে দেখতে পাবে’। সহীহুল বুখারী: ৭৪৩৫
অন্য হাদীছে এসেছে,
أَنَّ النَّاسَ، قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ نَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلْ تُضَارُّونَ فِي الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ". قَالُوا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ " فَهَلْ تُضَارُّونَ فِي الشَّمْسِ لَيْسَ دُونَهَا سَحَابٌ ". قَالُوا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ " فَإِنَّكُمْ تَرَوْنَهُ كَذَلِكَ،
লোকেরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ‘ক্বিয়ামতের দিন আমরা আমাদের প্রতিপালককে কিভাবে দেখতে পাব? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন, পূর্ণিমা রাতে চাঁদ দেখতে কি তোমাদের কোন কষ্ট হয়? তারা বলল, না, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি আরো বললেন, যখন আকাশ মেঘশূন্য ও সম্পূর্ণ পরিষ্কার থাকে তখন সূর্য দেখতে তোমাদের কোন কষ্ট হয় কি? উত্তরে তাঁরা বললেন, জ্বী না। তখন তিনি বললেন, এ ভাবেই তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাবে। সহীহুল বুখারী: ৭৪৩৭
যাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَظَرَ إِلَى الْقَمَرِ لَيْلَةً ـ يَعْنِي الْبَدْرَ ـ فَقَالَ " إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ لاَ تُضَامُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ،
এক রাতে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ছিলাম। হঠাৎ তিনি পূর্নিমার রাতের চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘শোন! নিশ্চয় তোমরা তোমাদের প্রতিপালকে তেমনি স্পষ্ট দেখতে পাবে, যেমন স্পষ্ট ঐ চাঁদকে দেখতে পাচ্ছ। তাঁকে দেখতে তোমরা কোন ভিড়ের সম্মুখহীন হবে না।’ সহীহুল বুখারী: ৫৫৪, ৫৭৩, ৪৮৫১, সহীহ মুসলিম
ছুহায়েব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হ’তে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ - قَالَ - يَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى تُرِيدُونَ شَيْئًا أَزِيدُكُمْ فَيَقُولُونَ أَلَمْ تُبَيِّضْ وُجُوهَنَا أَلَمْ تُدْخِلْنَا الْجَنَّةَ وَتُنَجِّنَا مِنَ النَّارِ - قَالَ - فَيَكْشِفُ الْحِجَابَ فَمَا أُعْطُوا شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنَ النَّظَرِ إِلَى رَبِّهِمْ عَزَّ وَجَلَّ ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَةَ ] لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ[
জান্নাতিগণ যখন জান্নাতে প্রবেশ করবেন তখন মহান আল্লাহ তাদেরকে বলবেন, তোমরা কি চাও আমি আরো অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেই? তারা বলবেঃ আপনি কি আমাদের আমাদের মুখমন্ডল উজ্জ্বল করেননি? আমাদের জান্নাতে দাখিল করেননি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেননি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অতঃপর পর্দা সরে যাবে। তখন জান্নাতীদের দৃষ্টি তাদের প্রতিপালকের প্রতি পতিত হবে এবং তাতে তারা যে আনন্দ পাবে তা অন্য কিছুতেই পাবে না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নের আয়াতটি পাঠ করেন, لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ ‘সৎকর্মশীলদের জন্য রয়েছে কল্যান এবং তারচেয়েও অতিরিক্ত (পুরস্কার)’ (ইউনুস - ২৬)। সহীহ মুসলিম: ৩৩৮, ৩৩৯
যারা আকার নাই তাকে কি দেখা যায়? আল্লাহর আকার আছে বলেই প্রত্যেক জান্নাতবাসী ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহকে স্বীয় আকৃতিতে দেখতে পাবে। তবে আল্লাহর আকার কেমন তা আমাদের জানা নেই। মহান আল্লাহর মত আর কেউ নেই, وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ আর কেউই তাঁর সমকক্ষ নয়, ১১২/৪। আর তার সদৃশ্য কোন কিছুই নেই।لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়, ৪২/১১।
আল্লাহর আকার আছে। তিনি নিরাকার নন। তবে সেই আকার কেমন তা কেউ জনেনা।তিনি বলেছেনঃ অর্থঃ কোন কিছুই তাঁর সাদৃশ্য নয়।তিনি সব্রশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা(শুরা-১১)
তাঁকে বেহেস্তে দেখ যাবে।তাঁর দীদরিই হবে বেহেস্তের সবচেয়ে বড় সুখ।
মহানবী (ছাঃ)স্বপ্নে আল্লাহকে দেখেছেন।তিনি বলেছেন,আমি আমার প্রতিপালককে সবচেয়ে সুন্দর
আকৃতিতে দর্শন করেছি।(আহমাদ,তিরমীযি,সহিহুল জামে’-৫৯নং)
আর যা দেখ যায় তা নিরকার নয়।
আল্লাহ বলেন-
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ
সেদিন অনেক মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। আল-ক্বিয়ামাহ, ৭৫/২২-২৩
এ আয়াতের ব্যাখ্যায়
হাফিয ইবনু কাছীর (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, ঐ দিন এমন হবে যাদের মুখমন্ডলে উজ্জ্বলতা প্রকাশ পাবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। (তাফসীর ইবনে কাছীর, ১৪শ’ খন্ড, পৃঃ ২০০)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ عِيَانًا
‘শীঘ্রই তোমাদের প্রতিপালককে তোমরা চাক্ষুস ভাবে দেখতে পাবে’। সহীহুল বুখারী: ৭৪৩৫
অন্য হাদীছে এসেছে,
أَنَّ النَّاسَ، قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ نَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلْ تُضَارُّونَ فِي الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ". قَالُوا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ " فَهَلْ تُضَارُّونَ فِي الشَّمْسِ لَيْسَ دُونَهَا سَحَابٌ ". قَالُوا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ " فَإِنَّكُمْ تَرَوْنَهُ كَذَلِكَ،
লোকেরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ‘ক্বিয়ামতের দিন আমরা আমাদের প্রতিপালককে কিভাবে দেখতে পাব? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন, পূর্ণিমা রাতে চাঁদ দেখতে কি তোমাদের কোন কষ্ট হয়? তারা বলল, না, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি আরো বললেন, যখন আকাশ মেঘশূন্য ও সম্পূর্ণ পরিষ্কার থাকে তখন সূর্য দেখতে তোমাদের কোন কষ্ট হয় কি? উত্তরে তাঁরা বললেন, জ্বী না। তখন তিনি বললেন, এ ভাবেই তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাবে। সহীহুল বুখারী: ৭৪৩৭
যাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَظَرَ إِلَى الْقَمَرِ لَيْلَةً ـ يَعْنِي الْبَدْرَ ـ فَقَالَ " إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ لاَ تُضَامُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ،
এক রাতে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ছিলাম। হঠাৎ তিনি পূর্নিমার রাতের চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘শোন! নিশ্চয় তোমরা তোমাদের প্রতিপালকে তেমনি স্পষ্ট দেখতে পাবে, যেমন স্পষ্ট ঐ চাঁদকে দেখতে পাচ্ছ। তাঁকে দেখতে তোমরা কোন ভিড়ের সম্মুখহীন হবে না।’ সহীহুল বুখারী: ৫৫৪, ৫৭৩, ৪৮৫১, সহীহ মুসলিম
ছুহায়েব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হ’তে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ - قَالَ - يَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى تُرِيدُونَ شَيْئًا أَزِيدُكُمْ فَيَقُولُونَ أَلَمْ تُبَيِّضْ وُجُوهَنَا أَلَمْ تُدْخِلْنَا الْجَنَّةَ وَتُنَجِّنَا مِنَ النَّارِ - قَالَ - فَيَكْشِفُ الْحِجَابَ فَمَا أُعْطُوا شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنَ النَّظَرِ إِلَى رَبِّهِمْ عَزَّ وَجَلَّ ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَةَ ] لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ[
জান্নাতিগণ যখন জান্নাতে প্রবেশ করবেন তখন মহান আল্লাহ তাদেরকে বলবেন, তোমরা কি চাও আমি আরো অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেই? তারা বলবেঃ আপনি কি আমাদের আমাদের মুখমন্ডল উজ্জ্বল করেননি? আমাদের জান্নাতে দাখিল করেননি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেননি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অতঃপর পর্দা সরে যাবে। তখন জান্নাতীদের দৃষ্টি তাদের প্রতিপালকের প্রতি পতিত হবে এবং তাতে তারা যে আনন্দ পাবে তা অন্য কিছুতেই পাবে না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নের আয়াতটি পাঠ করেন, لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ ‘সৎকর্মশীলদের জন্য রয়েছে কল্যান এবং তারচেয়েও অতিরিক্ত (পুরস্কার)’ (ইউনুস - ২৬)। সহীহ মুসলিম: ৩৩৮, ৩৩৯
যারা আকার নাই তাকে কি দেখা যায়? আল্লাহর আকার আছে বলেই প্রত্যেক জান্নাতবাসী ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহকে স্বীয় আকৃতিতে দেখতে পাবে। তবে আল্লাহর আকার কেমন তা আমাদের জানা নেই। মহান আল্লাহর মত আর কেউ নেই, وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ আর কেউই তাঁর সমকক্ষ নয়, ১১২/৪। আর তার সদৃশ্য কোন কিছুই নেই।لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়, ৪২/১১।