জান্নাতে স্ত্রী সংখ্যা ।
জান্নাতে একজনের কতজন স্ত্রী থাকবে ?
আবু হুরায়রা (রধিঃ) বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লহ (স্বঃ) বলেন, ‘সর্বনিম্ন জান্নাতীর জন্য ৭ তলা (বাড়ি) থাকবে এবং তিনি ৬ষ্ট তলায় থাকবেন । তার জন্য ৩০০ জন দাস দাসী থাকবে যারা তার জন্য সকালে এবং বিকালে ৩০০
প্লেট ভর্তি খাবার নিয়ে আসবে। প্রতিটি প্লেট স্বর্ণ ও রৌপ্যের তৈরী হবে। প্রতিটি প্লেটে ভীন্ন ভিন্ন রকমের খাবার থাকবে। জান্নাতী ব্যাক্তি প্রথম প্লেট যে স্বাদ ও আনন্দ নিয়ে খাবে, শেষ প্লেটও একই স্বাদ ও আনন্দ নিয়ে খাবে। উক্ত দাস দাসীরা (খাবারের) সাথে ৩০০টি গ্লাসে ভীন্ন ভীন্ন স্বাদের পানীয় (জুস) নিয়ে আসবে। জান্নাতী শেষ গ্লাসটিও প্রথম গ্লাসের মত মজা ও আনন্দ নিয়ে পান করবে। সে আল্লাহকে বলবে হে আমার প্রভু! তুমি যদি আমাকে পৃথিবীর সকল মানুষদেরকে খাবার এবং পান করার অনুমতি দাও তাহলেও আমার রাজত্তের সামান্যতমও কমবেনা । জান্নাতী ব্যাক্তির পৃথিবীর স্ত্রীরা ছাড়া ৭২ জন হুর স্ত্রী থাকবে এবং একজন স্ত্রী এক মাইল পরিমাণ প্রশস্ত হবে। (আহমেদ, আবু ইয়ালা)।
জান্নাতের অধিবাসীদের শরীরকে অনেক বড় আকারের করে তৈরী করা হবে যাতে করে তাঁরা জান্নাতের বিলাসিতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভোগ করতে পারে।
আব্দুর রহমান বিন সাবিত (রধিঃ) বলেন, “ নিশ্চয়ই জান্নাতের একজন লোক ৫০০ হুর, ৪০০০ কুমারী এবং ৮০০০ পুর্ববর্তী বিবাহিত রমণীকে বিয়ে করবে । তিনি এই প্রত্যেক রমণীর সাথে পৃথিবীতে যতটুকু সময় সে বেচে ছিল ততখানি সময় পর্যন্ত শারীরিক সম্পর্ক করবে ( অর্থাৎ একজনের সাথে ৬০/৭০ বছর ব্যাপি যৌন সম্পর্ক হবে)। (বায়হাকি)।
আবু সাইদ খুদরী (রধিঃ) বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লহ (স্বঃ) বলেন, 'সর্বনিম্ন জান্নাতী ব্যাক্তির ৮০০০ দাস দাসী ও ৭২ জন স্ত্রী থাকবে। আল-জাবিয়া থেকে সানা পর্যন্ত লম্বা মুক্তা পান্না ও পদ্ধরাগমনি দিয়ে একটি প্রাসাদ তার জন্য নির্মান করা হবে। উক্ত জাবা থেকে সানা শহরের মধ্যবর্তী দুরত্ত ২১৫০ কিলোমিটার ।' (তিরমিযি, ইবনে হিব্বান)। সুতারং আমরা অনুমান করতে পারি যে ঐ প্রাসাদটি কত বড় হতে পারে ?
উপরের হাদিসগুলোতে আমরা দেখি জান্নাতী স্ত্রীদের বিভিন্ন সংখ্যার কথা উল্লেখিত হয়েছে। বুখারীতে বলা হয়েছে, ' প্রত্যেক ব্যাক্তির দু’জন স্ত্রী থাকবে'। যাহোক এখানে দুইজন স্ত্রী এবং অন্যস্থানে বেশী স্ত্রীর সংখ্যাযুক্ত হাদিসের মধ্যে আসলে কোন বিরোধ নেই। হাফিজ ইবনে হাজার (রহঃ) বলেন, 'একজন ব্যাক্তির সর্বনিম্ন দু’জন স্ত্রী থাকবে'।
অন্য ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে আরবি ভাষায় '২' সংখ্যাকে অধিক পরিমাণ এবং কোন কিছুর বড়ত্বকে বুঝানোর জন্য ব্যাবহুত হয়। তাই একজন জান্নাতীর স্ত্রীর সংখ্যা ও সীমা নির্দিষ্ট করে অর্থ করা সঠিক হবেনা। (ফাতহুল বারী ৬/৩২৫, দারুল মারিফা বৈরুত)।
মোল্লা আলী কারী (রহঃ) বলেন, 'সবচেয়ে উত্তম ব্যাখ্যা হচ্ছে যে, হাদিসে যেখানে দু’জন স্ত্রী কথা বলা হয়েছে তারা হলেন পৃথিবীর নারী। এবং একজন জান্নাতী ব্যাক্তির ৭২ জন স্ত্রী থাকবে যার ৭০ জন হুরদের মধ্য থেকে এবং ২জন পৃথিবীর (ইমানদার) নারীদের মধ্য থেকে হবে। (মিরকাত- ৯/৬০০)।
আবু মুসা (রধিঃ) বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লহ (স্বঃ) বলেন, 'নিশ্চয়ই জান্নাতে মুক্তা দিয়ে তৈরী ফাঁকা একটি বিশাল বাড়ি থাকবে। আকাশের দিকে যার উচ্চতা হবে ৬০ মাইল (১১১ কিলোমিটার) । এই বিশাল বাড়িতে মুমিনদের স্ত্রীরা থাকবে এবং মুমিন ব্যাক্তিরা (আনন্দের জন্য) তাদের কাছে যাবে। এ সকল স্ত্রীরা একে অপরকে দেখবেনা।' (বুখারি-৩২৪৩, মুসলিম- ৭১৫৮)
জান্নাতে একজনের কতজন স্ত্রী থাকবে ?
আবু হুরায়রা (রধিঃ) বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লহ (স্বঃ) বলেন, ‘সর্বনিম্ন জান্নাতীর জন্য ৭ তলা (বাড়ি) থাকবে এবং তিনি ৬ষ্ট তলায় থাকবেন । তার জন্য ৩০০ জন দাস দাসী থাকবে যারা তার জন্য সকালে এবং বিকালে ৩০০
প্লেট ভর্তি খাবার নিয়ে আসবে। প্রতিটি প্লেট স্বর্ণ ও রৌপ্যের তৈরী হবে। প্রতিটি প্লেটে ভীন্ন ভিন্ন রকমের খাবার থাকবে। জান্নাতী ব্যাক্তি প্রথম প্লেট যে স্বাদ ও আনন্দ নিয়ে খাবে, শেষ প্লেটও একই স্বাদ ও আনন্দ নিয়ে খাবে। উক্ত দাস দাসীরা (খাবারের) সাথে ৩০০টি গ্লাসে ভীন্ন ভীন্ন স্বাদের পানীয় (জুস) নিয়ে আসবে। জান্নাতী শেষ গ্লাসটিও প্রথম গ্লাসের মত মজা ও আনন্দ নিয়ে পান করবে। সে আল্লাহকে বলবে হে আমার প্রভু! তুমি যদি আমাকে পৃথিবীর সকল মানুষদেরকে খাবার এবং পান করার অনুমতি দাও তাহলেও আমার রাজত্তের সামান্যতমও কমবেনা । জান্নাতী ব্যাক্তির পৃথিবীর স্ত্রীরা ছাড়া ৭২ জন হুর স্ত্রী থাকবে এবং একজন স্ত্রী এক মাইল পরিমাণ প্রশস্ত হবে। (আহমেদ, আবু ইয়ালা)।
জান্নাতের অধিবাসীদের শরীরকে অনেক বড় আকারের করে তৈরী করা হবে যাতে করে তাঁরা জান্নাতের বিলাসিতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভোগ করতে পারে।
আব্দুর রহমান বিন সাবিত (রধিঃ) বলেন, “ নিশ্চয়ই জান্নাতের একজন লোক ৫০০ হুর, ৪০০০ কুমারী এবং ৮০০০ পুর্ববর্তী বিবাহিত রমণীকে বিয়ে করবে । তিনি এই প্রত্যেক রমণীর সাথে পৃথিবীতে যতটুকু সময় সে বেচে ছিল ততখানি সময় পর্যন্ত শারীরিক সম্পর্ক করবে ( অর্থাৎ একজনের সাথে ৬০/৭০ বছর ব্যাপি যৌন সম্পর্ক হবে)। (বায়হাকি)।
আবু সাইদ খুদরী (রধিঃ) বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লহ (স্বঃ) বলেন, 'সর্বনিম্ন জান্নাতী ব্যাক্তির ৮০০০ দাস দাসী ও ৭২ জন স্ত্রী থাকবে। আল-জাবিয়া থেকে সানা পর্যন্ত লম্বা মুক্তা পান্না ও পদ্ধরাগমনি দিয়ে একটি প্রাসাদ তার জন্য নির্মান করা হবে। উক্ত জাবা থেকে সানা শহরের মধ্যবর্তী দুরত্ত ২১৫০ কিলোমিটার ।' (তিরমিযি, ইবনে হিব্বান)। সুতারং আমরা অনুমান করতে পারি যে ঐ প্রাসাদটি কত বড় হতে পারে ?
উপরের হাদিসগুলোতে আমরা দেখি জান্নাতী স্ত্রীদের বিভিন্ন সংখ্যার কথা উল্লেখিত হয়েছে। বুখারীতে বলা হয়েছে, ' প্রত্যেক ব্যাক্তির দু’জন স্ত্রী থাকবে'। যাহোক এখানে দুইজন স্ত্রী এবং অন্যস্থানে বেশী স্ত্রীর সংখ্যাযুক্ত হাদিসের মধ্যে আসলে কোন বিরোধ নেই। হাফিজ ইবনে হাজার (রহঃ) বলেন, 'একজন ব্যাক্তির সর্বনিম্ন দু’জন স্ত্রী থাকবে'।
অন্য ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে আরবি ভাষায় '২' সংখ্যাকে অধিক পরিমাণ এবং কোন কিছুর বড়ত্বকে বুঝানোর জন্য ব্যাবহুত হয়। তাই একজন জান্নাতীর স্ত্রীর সংখ্যা ও সীমা নির্দিষ্ট করে অর্থ করা সঠিক হবেনা। (ফাতহুল বারী ৬/৩২৫, দারুল মারিফা বৈরুত)।
মোল্লা আলী কারী (রহঃ) বলেন, 'সবচেয়ে উত্তম ব্যাখ্যা হচ্ছে যে, হাদিসে যেখানে দু’জন স্ত্রী কথা বলা হয়েছে তারা হলেন পৃথিবীর নারী। এবং একজন জান্নাতী ব্যাক্তির ৭২ জন স্ত্রী থাকবে যার ৭০ জন হুরদের মধ্য থেকে এবং ২জন পৃথিবীর (ইমানদার) নারীদের মধ্য থেকে হবে। (মিরকাত- ৯/৬০০)।
আবু মুসা (রধিঃ) বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লহ (স্বঃ) বলেন, 'নিশ্চয়ই জান্নাতে মুক্তা দিয়ে তৈরী ফাঁকা একটি বিশাল বাড়ি থাকবে। আকাশের দিকে যার উচ্চতা হবে ৬০ মাইল (১১১ কিলোমিটার) । এই বিশাল বাড়িতে মুমিনদের স্ত্রীরা থাকবে এবং মুমিন ব্যাক্তিরা (আনন্দের জন্য) তাদের কাছে যাবে। এ সকল স্ত্রীরা একে অপরকে দেখবেনা।' (বুখারি-৩২৪৩, মুসলিম- ৭১৫৮)