বিয়ে দিয়ে এসব চাহিদা আসলে মেটানো সম্ভব নয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
১. ভালোবাসাই একমাত্র শর্ত:
আমরা মনে করি কারো সঙ্গে তুমুল ভালোবাসাবাসি থাকলেই বিয়ে সম্ভব। এটা হয়তো সম্ভব। কিন্তু বিয়ের পর শিগগিরই বোঝা যায় যে, শুধু ভালোবাসা দিয়ে জীবন চলে না। বোঝাপড়ার জন্যে আরো বহু বিষয় জড়িত।
২. একঘেয়েমির অবসান:
মনে হয়, বিয়ে করা মানে জীবন থেকে একঘেয়েমির অবসান হওয়া। কিন্তু মধুচন্দ্রিমার পর দেখবেন, একঘেয়েমি থেকে মুক্তি মেলেনি।
৩. যোগাযোগ কোনো ঘটনা নয়:
একই ছাদের নীচে দুজনের বাস। আপনাদের মাঝে যোগাযোগের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু প্রতিদিন ক্লান্ত দেহে বাড়ি ফিরে দেখবেন, দুজনের আন্তঃযোগাযোগের জন্যে অনেক কিছুই প্রয়োজন হয়।
৪. বন্ধুদের সঙ্গে আগের মতোই:
যদি মনে করে থাকেন যে বিয়ের পর বন্ধুদের সঙ্গে আগের মতোই আড্ডাবাজি করতে পারবেন, তাহলে ভুল করেছেন। তখন বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো মানেই সমস্যা। তবে অনেক সময় বন্ধুদের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তবুও বিষয়টি সহজে মেনে নেওয়া যায় না।
৫. সবকিছু সমান-সমান:
বিয়ের আগে ভালোবাসাপূর্ণ জীবনে মনেই হবে যে একজন অন্যের জন্যে পুরোপুরি মিলে গেছেন। কিন্তু বিয়ের পর প্রায়ই মনে হবে যে, আপনি যা দিচ্ছেন বিনিময়ে তার কিছুই পাচ্ছেন না। এ নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি হবে।
৬. সে এমন থাকবে না:
এলোমেলো প্রেমিককে নিয়ে প্রায়ই মেয়েরা চিন্তা করেন যে, বিয়ের পর বদলে যাবে। কিন্তু মানুষ আসলে এত সহজে বদলায় না। বয়সের সঙ্গে তার অনেক পরিবর্তন আসবে। কিন্তু ভেতরের আসল মানুষটি কখনো বদলায় না।
৭. সব সময় সুখ:
মনে কষ্ট না নেওয়াই ভালো, বিয়ের মাধ্যমে মানুষ জীবনের সর্ব সুখ পায় না। মনে হবে যে, বিয়ের মাধ্যমেই সব সুখ চলে আসবে। কিন্তু বিয়ের পর বহু সময় আসবে যখন কেঁদে-কেটে বুক ভাসাতে হবে।
৮. সে আপনার সব চাহিদা পূরণ করবে:
যাদের ভাগ্য ভালো তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় যে, আপনার সব চাহিদাই সঙ্গী বা সঙ্গিনী পূরণ করবেন। কিন্তু তেমনটি সহসা হয় না। আপনার খাওয়া, পড়াসহ অন্যান্য মৌলিক চাহিদা হয়তো পূরণ হবে আপনার, কিন্তু অনেকে চাহিদাই মনের মতো করে পূরণ হবে না।
৯. তাকেই সব সময় ভালো লাগবে:
এটাই একটা হৃদয় ভাঙার বাস্তবতা। আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী হয়তো দারুণ সুদর্শন বা রূপবতী। একমাত্র তাকেই ভালো লাগে আপনার। কিন্তু এক সময় এই ভালোলাগা বদলে যাবে। অনেক সময়ই আসবে যখন আর তাকে ভালো লাগবে না।
১০. সে কখনোই আপনাকে কষ্ট দেবে না:
এটাও একটা ভুল ধারণা। প্রেম করার সময় কল্পনায় এমনই মনে হয়। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটে না। অনেক সময়ই আসবে যখন দেখবেন যে তিনি আপনাকে অনেক কষ্টই দিচ্ছেন। এ জন্যে ক্ষমাশীল হতে হবে। সূত্র : আইডিভা।
Comments
Post a Comment