স্বাস্থ্য ডেস্ক :বর্তমান যুগে বেশীর ভাগ পুরুষের মধ্যে একটা সমস্যা বেশ প্রকট হয়ে উঠছে৷ দিন যত যাচ্ছে পুরুষের মধ্যে নপুংসকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের যৌণ ইচ্ছা ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে৷ কাজেই আপনার যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার আগে থেকে আপনি সচেতন হয়ে যান৷ জেনে নিন
কেন আপনার মধ্যে থেকে এই চাহিদা ক্রমঃ ক্ষয়মান৷ মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদেরও নানা ধরনের যৌন সমস্যা রয়েছে। যেমন – প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশেন (সহবাসে স্থায়িত্বের অভাব), ইরেকশন ফেইলিউর (পুরুষাঙ্গের উত্থানে দুর্বলতা), পেনিট্রেশন ফেইলিউর (যৌনাঙ্গ ছেদনে অক্ষমতা) প্রভৃতি।
এই কারণে ডাক্তারের কাছে যেতে কুন্ঠিত বোধ করছেন? তবে চিন্তা করবেন না কারণ এর চিকিত্সা আপনি এখন আপনার বাড়িতেও করতে পারেন৷ আর আপনি একবার এই সমস্যার সন্মুখীন হলে পরবর্তী সম্পূর্ণ জীবন আপনাকে এভাবে কাটাতে হবে এমন কোন আশঙ্কাতে আপনি থাকবেন না৷
হোম রেমেডি পুরুষের এই সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছে৷ তারা যাতে আবার তাদের পূর্ণ যৌন ইচ্ছা ফিরে পায় তার উপায় বার করেছে হোম রেমেডি৷ যাদের মধ্যে এই অসুবিধা সবে মাত্র দেখা দিয়েছে তাদের ক্ষত্রে হোম রেমেডি কার্যকরী হতে পারে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে হোম রেমেডি দ্বারা চিকিত্সা করা যায় কিন্তু সবক্ষেত্রে হোম রেমেডি প্রযোজ্য নয়৷
এবার আসুন জানা যাক যৌন অক্ষমতার প্রথম ধাপের চিকিত্সাতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কিকি সামগ্র্রী কাজে লাগতে পারে বা তা ব্যবহারে কি উপকার সাধিত হয়
ডাক্তারী বিজ্ঞানমতে, পুরুষদের এসব সমস্যার জন্য যেসব বিষয়কে দায়ী করা হয় সেগুলো হলো:
যার সাথে সহবাসে মিলিত হওয়া সেই মানুষটির সাথে বয়সের পার্থক্য
সহবাসকারী পার্টনারকে অপছন্দ (যেমন: দেহের ত্বক, মুখশ্রী, দেহ সৌষ্ঠব প্রভৃতি)
সিফিলিস
ডায়াবেটিস
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, টেনশন ও অবসাদ
যৌনরোগ বা এইডস ভীতি
নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাঙ্গ
প্রয়োজনীয় যৌন শিক্ষার অভাবদেহে সেক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
আমাদের মধ্যে অনেকেই লজ্জায় এসব বিষয়ে কাউকে কিছু না বলে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এ থেকে সমস্যা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। তাই এসব সমস্যা নিজের মধ্যে লুকিয়ে না রেখে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ, ভিডিআরএল, টিপিএইচ, এইচবিএসএজি ও রক্তের হরমোন এনালাইসিস এর মাধ্যমে এথেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
এছাড়া আপনি চাইলে ঘরে বসেই এসব সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এই পদ্ধতিকে বলা হয় হোম রেমেডি। হবে সবক্ষেত্রে হোম রেমেডি প্রযোজ্য নয়। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় হোম রেমেডি পদ্ধতি প্রয়োগ করে রোগটি নির্মূল করা সম্ভব হয়। যেসকল পুরুষের যৌন সক্ষমতা কম তারা নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
পেঁয়াজ :-
আমরা অনেকেই জানি পেঁয়াজ খেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। সহজলভ্য এই মসলাটি কাম উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসাবে অনেকদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে এখন সুস্পষ্ট তেমনকিছু জানা সম্ভব হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সাদা পেঁয়াজ বাটা মাখনের সাথে ভেজে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, এটি খাওয়ার আগে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা পর্যন্ত কোনো কিছু খাওয়া যাবে না। এটি খেলে দ্রুত বীর্যপাত, ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন প্রভৃতি সমস্যার সমাধান হয়। এছাড়াও পেঁয়াসের রসের সাথে কালো খোসা সহ বিউলির ডালের গুড়া সাত দিন ভিজিয়ে রেখে রোদে শুকিয়ে সেটি নিয়মিত খেলে কাম-উত্তেজনা বজায় থাকে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় থাকে।
রসুন :-
মসলা হিসেবে রসুন আমাদের সকলের কাছেই পরিচিত। ডাক্তারী ভাষায় রসুনকে বলা হয় গরীবের পেনিসিলিন। এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং Immune Booster হিসাবে কাজ করে। যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ কোনো রোগের কারণে বা দুর্ঘটনার কারণে যৌন ক্ষমতা হারিয়ে গেলে রসুনের মাধ্যমে তা পুণরায় ফিরে পাওয়া যায়। প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোয়া রসুন কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেলে হারানো যৌন অক্ষমতা ফিরে পাওয়া যায়। যারা খালি কাঁচা রুসন খেতে পারেন না তারা গমের আটার তৈরি রুটির সাথেও কাঁচা রসুন মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীরে স্পার্ম তৈরির মাত্রা বেড়ে যায় এবং সুস্থ স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে থাকে।
Comments
Post a Comment