‘ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন পাপ’
_____সৌদি
আরবের গ্রান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল-আশেখ।
বিশ্ব নবীর (সা.) জন্মদিন ও ওফাত দিবস একদিনেই। দিনটিকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ ছাড়াও অনেক মুসলিম দেশ। কিন্তু সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল-আশেখ বলেছেন, এমন উদযাপন করা রীতিমত পাপ। এ ব্যাপারে তিনি মুসলমানদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, এটি একটি কুসংস্কারচ্ছন্ন অনুশীলন এবং ধর্মে অবৈধভাবে তা ঢুকে পড়েছে।
শুক্রবার জুম্মার খুৎবায় গ্রান্ড মুফতি আরো বলেন, নবীর (সা.) জন্মদিন উদযাপন বিদআত বা পাপপূর্ণ আচার। ইসলামের ইতিহাসের শুরু থেকে তা ছিল না। অন্তত তিন শতাব্দী পর থেকে এটি ইসলামে ঢুকে গেছে। তিনি বলেন, নবীর (সা.) শিক্ষা হচ্ছে তার সুন্নাহ অনুসরণ করা। তার শিক্ষা অনুশীলন করা। মেনে চলা। রিয়াদে তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ মসজিদে জুম্মার খুৎবায় গ্রান্ড মুফতি এ কথা বলেন।
গ্রান্ড মুফতি বলেন, যারা অন্যকে নবীজির (সা.) জন্মদিন পালন করার আহবান জানায় তারা শয়তান ও দুর্নীতগ্রস্ত। নবীজিকে (সা.) সত্যিকারভাবে ভালবাসতে হলে তার রেখে যাওয়া শিক্ষাকে অনুসরণ করতে হবে। সুন্নাহকে অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে জীবন যাপনই নবীজিকে ভালবাসা।
জুম্মার খুৎবায় গ্রান্ড মুফতি বলেন, আল্লাহ বলেছেন,
“ বল : যদি তুমি আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর। আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন এবং তোমার পাপ ক্ষমা করে দেবেন। ” মুসলমানদের দায়িত্ব হচ্ছে নবীজিকে (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুল হিসেবে বিশ্বাস করা। আল্লাহ নবীজিকে (সা.) সারাবিশ্বে পথ প্রদর্শক হিসেবে পাঠিয়েছেন। মুসলমানদের কর্তব্য তাকে ভালবেসে অনুসরণ করা।
মুফতি বলেন, যারা নবীজির (সা.) শিক্ষাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা দেয় তাদের হাত থেকে মুসলমানদের রক্ষা করা অন্য মুসলমানদের দায়িত্ব। নবীজির (সা.) শিক্ষাকে অপব্যবহার থেকে বিরত থাকাও প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য বলে মুফতি বলেন, নবীজিকে (সা.) ভালবাসতে হলে এসব দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে।
পবিত্র কোরআনের আয়াত উল্লেখ করে গ্রান্ড মুফতি বলেন, মুসলমানদের সন্তান সন্ততি, ভাই, পিতা, মাতার চেয়ে আল্লাহ ও তার রাসুল (সা:) কে অধিক প্রিয় মনে করা উচিত। আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.) কে সব কাজে অনুসরণ করা অবশ্য কর্তব্য। তবে আল্লাহর বিরুদ্ধে যারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে তাদেরকে আল্লাহ পথ প্রদর্শন করেন না।-আরব নিউজ
সংগৃহীত
সুন্দর লেখা
ReplyDelete