‘আমি সত্যি কথাটাই বলছি। জীবনে প্রথম যখন
সেক্স করি, তখন কল্পনায় যখন ভেবেছিলাম
তেমন উত্তেজনাকর মনে হয়নি। তারপর একদিন অন্য একজনের সঙ্গে হঠাৎ করেই এ কাজটি হয়ে যায়। তখন ব্যাপারটি দারুণ উত্তেজনাকর ও আবেগময় ছিলো। এটা কী সঙ্গী পরিবর্তনের জন্য হয়েছে, নাকি তাকে আমার বেশি ভালো লেগেছিল? আমি জানি না। প্রচণ্ড আবেগের সঙ্গে কাজটি না করা গেলে একদম ভালো লাগে না’।
তেমন উত্তেজনাকর মনে হয়নি। তারপর একদিন অন্য একজনের সঙ্গে হঠাৎ করেই এ কাজটি হয়ে যায়। তখন ব্যাপারটি দারুণ উত্তেজনাকর ও আবেগময় ছিলো। এটা কী সঙ্গী পরিবর্তনের জন্য হয়েছে, নাকি তাকে আমার বেশি ভালো লেগেছিল? আমি জানি না। প্রচণ্ড আবেগের সঙ্গে কাজটি না করা গেলে একদম ভালো লাগে না’।
ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের কাছে সেক্স অনেক
গভীর আবেদনের এবং আবেগময় বিষয়। এর পেছনের কারণ উদ্ভাবনের চেষ্টা করেছেন
গবেষকরা। সম্পর্কের বাঁধন নরের সঙ্গে নারীর সম্পর্কের নানা স্তর রয়েছে।
সম্পর্কের দীর্ঘসূত্রিতা নির্ভর করে তাদের মধ্যকার নানা আবেগীয় লেনদেনের
ওপর। নারী তার সঙ্গীর প্রতি চরমভাবে দুর্বল হয়ে তাকে নিজের জীবনের অংশ করতে
যৌনতায় লিপ্ত হয়। নিজের কামনা বাসনা এবং যাবতীয় সবকিছু নারী উজাড় করে দেয়
সঙ্গীর কাছে।
কিন্তু নতুন পুরুষের কাছে নানা
দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকেন নারীরা। তাই একেবারে আপন করে নিতেই নারীরা সঙ্গম
করেন। সম্পর্ক বিষয়ক সুসান কুলিয়াম বললেন, পশ্চিমে তত্ত্বীয়ভাবে যেকোনো
নারী যেকোনো পুরুষের সঙ্গে সেক্স করতে পারেন। অনেকে তা করেন। কিন্তু আমরা
এখনো জানিনা এই নারীদের কী দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখা উচিত। নারীদের মধ্যে যৌন
উত্তেজনা রয়েছে, তবে অতিমাত্রায় নয়। যার রয়েছে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ।
তবে একজন পুরুষকে ভালোবেসে তার সঙ্গে জুটি
গড়ার ক্ষেত্রে যৌনতা উপভোগ্য হয়ে ওঠে নারীর কাছে। মানসিক সুখ নারীদের
যৌনতার ব্যাপারে যদি সমাজ অনিশ্চিত থাকে, তবে নারীরা কিভাবে নিজেদের নৈতিক
দৃষ্টিকোণ থেকে নিরাপদ বোধ করবে? বহু মন্তব্য নারীদের যৌন আকাঙ্খাকে ভিন্ন
দিকে পরিচালিত করে। নারীরা পুরুষদের শুধুমাত্র আপন করে নিতেই নয়, তার জৈবিক
চাহিদার তৃপ্তিকর অনুভূতিও আশা করেন। ‘রিরাইটিং দ্য রুলস’ গ্রন্থের লেখক ও
সম্পর্ক বিষয়ক থেরাপিস্ট মেগ বার্কার বলেন, যৌনতায় নারীরা দারুণ সুখ আশা
করেন। কিন্তু বিছানায় পুরুষদের বেশি সতর্ক থাকতে হয় তৃপ্তিকর করতে।
কারণ বর্তমান যুগে যৌনতায় নারীদের সুখই
বেশি প্রাধান্য পায়। যৌনতা এখন নারী কেন্দ্রিক এক স্বাধীন যৌনকর্মী
জানালেন, আমি সম্প্রতি খেয়াল করেছি, আমার কাছে যেসব পুরুষ আসেন তারা যেনো
নিজেদের জন্য আসেন না, তারা আসেন আমাকে খুশী করতে। আজ থেকে বিশ বছর আগে যখন
আমি আয়ারল্যান্ডে থাকতাম, তখন দেখেছি নারীরা সেক্স করতো পুরুষদের খুশি
করার জন্য। কিন্তু এখন যৌনতা এখন নারীকেন্দ্রিক হয়ে গেছে।
সুসান কুলিয়ামও এ বিষয়ে একমত। তিনি বললেন,
যৌনতা এখন মেয়েদের গেম হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো স্রেফ খেলা হিসেবে মনে করে
না নারীরা। বার্কার বলেন, আমরা এখনো যৌনতা নিয়ে খুব হালকাভাবে জানি। গত বছর
এক জরিপে দেখা যায়, অনেক নারী তার যৌনসঙ্গীর সংখ্যা বাড়িয়েছে এবং আশঙ্কার
বিষয় তারা যৌনতা নিয়ে নানা সমস্যায় রয়েছেন। আসলে মিডিয়ার কল্যাণে আমরা ভাবি
সেক্স না জানি কতো মজার বিষয়। আসলে মেয়েদের কাছে সেক্স এমন এক বিষয় যেখানে
মন-মানসিকতা চরম পর্যায়ে থাকে। এটা সম্পর্ক এবং সুখের গভীরতম এক
প্রক্রিয়া। যৌনতা নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গী এ বিষয়ে নারী-পুরুষের সামান্য ভুল ধারণা
অনেক সমস্যা বয়ে আনতে পারে।
অনেকেই সেক্স সম্পর্কে সামান্য জেনে এবং
অনিশ্চয়তা নিয়ে এ কাজে জড়িয়ে পড়েন। আর এ সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনাতেও
অভ্যস্ত নন অনেকে। তবুও এ কাজ করতে গেলে যদি সমস্যা মনে করে থাকলে অনেকে
বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করেন। এ ধরনের সমস্যা নারীদের খুব বাজে মানসিক অবস্থা
তৈরি করে দেয়। কিন্তু পুরুষদের কাছে তেমন সমস্যা নয়। তাদের যেনো তাগিদ থাকে
নারীকে সুখী করা। কিন্তু নারীদের কাছে সম্পর্কের গভীরতা এবং দৈহিক আনন্দের
চরম উৎকর্ষতা।
Comments
Post a Comment